হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন


আজ আমি একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো , জানি না বিষয় টা আপনারা কিভাবে নিবেন আশা করি পোস্ট টি আপনাদের ভালোই লাগবে,এই পোস্ট টি পড়ার জন্য কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট লাগবে, এখন যদি সময় নাহয় তাহলে বুক মার্ক করে রাখুন সময় পেলে পড়বেন, আশাকরি আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে না। আমার এই পোস্ট টি পড়ে অনেক মজা পাবেন এবং কিছু জিনিসও শিখতে পারবেন (শেখার কিন্তু কোন বয়স নেই ) প্রতিটা লাইন ভালোকরে পড়ুন টপিক গুলো বোঝার চেষ্টা করুন ৯৫% মজা পাবেন।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
Note: এই পোস্ট টি লিট ভাই (1337) দের জন্য নয়।
হ্যাক বা হ্যাকিং ! আমার কিছু ফ্রেন্ড আছে যারা হ্যাকিং বলতে যেইসব বিষয় গুলো বুজে যেমন- ফেসবুক পাসওয়ার্ড চুরি করা, ফ্রী ইন্টারনেট ব্যাবহার করা, প্লে স্টোরে থেকে গেম বা অ্যাপ ডলার ছারা ইন্সটল করা ইত্যাদি । আরও কিছু ফ্রেন্ড আছে যারা কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ভালোই ব্যাবহার করতে পারে, তারা অবশ্য গুগল সার্চ করতে পারে কিন্তু শর্ট সার্চ পছন্দ করে যেমন Hack, game hack, phone hack বা facebook hack কিন্তু এভাবে তো আর হ্যাকিং কি তা বোজা যাবে না। যাই হোক এরা হ্যাকিং সম্পর্কে মোটামটি ভালোই জানে যেমন ওয়েবসাইট হ্যাক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক, অপারেটিং সিস্টেম হ্যাকিং ইত্যাদি।
মজার বিষয় টা হোল আমাদের কিছু আংকেল আনটি আছে যারা মনে করে হ্যাকার্স-রা চোর ! চোর বলার পিছনে অবশ্য কারন আছে আজকাল প্রায় টিভি, পত্রিকায় দেখা যায় যে ওই ব্যাংক হ্যাক হচ্ছে সেই ব্যাংক হ্যাক হচ্ছে , ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা উধাও ! দশ লাখ টাকা হ্যাকার্স-রা নিয়ে গেছে কারো ক্রেডিট কাট হ্যাক করে আরও কতো কিছু । এই সব দেখে কোন আনটি, আম্মা বলবে হ্যাকার্স-রা ভালো মানুষ ? যারা সারা দিন টিভি তে নাটক আর সিরিয়াল দেখে সময় পার করে তারা হ্যাকার দের চোর বললে কিবা আসেযায় (আমি কিন্তু কোন মা খালা দের নিয়ে ভালো, খারাপ মন্তব্য করছি না )
আপনি ও যদি এই ধরণের কিছু ভেবে থাকেন তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য !!! তবে আমি বলছি না যে ওয়েবসাইট বা অপারেটিং সিস্টেম হ্যাক করাকে রিয়াল হ্যাকিং বলেনা , হাঁ এইসব কাজ গুলো ও হ্যাকিং কর্মকাণ্ড । আমি এই বিষয় টা নিয়ে একটু পরে আলোচনা করবো। তার আগে বলে নেয়া ভালো যে আমি কিন্তু কোন প্রকার হ্যাকার না বা আমি কোন হ্যাকিং ও পারিনা, আমি হ্যাকিং শব্দ টার সাথে পরিচয় হয়েছি অল্প কিছু দিন আগে ২০১২ তে, তখন আমি প্রথম বারের মতো টিভি তে এই ধরণের সংবাদ দেখতে পাই আর তখন থেকেই আমার এই হ্যাকিং বিষয় টা নিয়ে একটু কৌতূহল । ব্যাস গুগল মামারে জালাতন করা শুরু, সাধারণ মানুষের কাজ ! কিছু হলেই গুগল এ সার্চ করে আমিও তাই করলাম Hacker লেখে সার্চ দিলাম কিন্তু কিছুই বুজলাম না ইমেজ সার্চ করলাম দেখলাম কাল মুখুশ পরা কিছু লোক এর ছবি একদমই কিছু মাথায় ঢুকল না।
কিছু দিন পর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর সাথে বিষয় টা শেয়ার করি আর ওর থেকে জবাব পাই ও নাকি হ্যাকিং সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই জানে মনে মনে ভাবলাম ভালোই হোল গুগল এর আর দরকার নেই। আমার ফ্রেন্ড এর প্রথম উদাহরণ ছিল এরকম- কেউ যদি তোর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ লগিন করে তোর কোন প্রকার হেল্প ছাড়া বা তোর দেয়া পাসওয়ার্ড ছাড়া তাহলে সে একজন হ্যাকার, আর ওই ব্যাক্তি যেকারো ফেসবুক বা জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবে । এই কথাটা শুনে একটু কেমন জানি লাগলো, খুব ইচ্ছা হলো আমি যদি হ্যাকার হতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো হতো তাঁর উপর আবার বেস্ট ফ্রেন্ড এর ছোট একটা চাপা ও নাকি হ্যাকার !হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
আবার বলে এইসব নাকি কাওকে বলা যায়না ! ভালো ! আমি বললাম আমিও হ্যাকিং শিখবো ব্যাস দুই দিনের ভীতরে গুগল, ইউটিউব সার্চ করে ফাস্ট শর্টে ১০ টা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করলাম। আমি আর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড মিলে এক সাথে এতো গুলো ফ্রেন্ড এর আইডি হ্যাক করার পর সবার কাছে আমরা হ্যাকার নামে পরিচিত হয়ে গেলাম, কেউ কিছু বললেই হইত আমরা ভয় দেখাতাম- ওই কথা কম বল আর নাহলে একদম হ্যাক করে দিবো :p সবাই আমাদের ভালোই ভয় পেতো, আর ভয় পাওয়ার কারন ও আছে আমরা শুধু টিভি আর পত্রিকা বাদ দিয়ে যেভাবে পেরছি সেভাবে প্রচার করেছি যে হাঁ আমার দুই জন অনেক বড় মানের হ্যাকার।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
আসলে তখন আমরা হ্যাকিং এর “হ” ও বুজতাম না, আর হ্যাঁ তখন ফেসবুক এর Security তেমন একটা ভালো ছিলোনা, এইসব কে হ্যাকিং বলে না পাগলামি বলে। এখনো এরকম অনেক পলাপাইন আছে যারা কিছুই পারে না কিন্তু এমন একটা ভাব নেয় যে সে বাংলাদেশের টপ হ্যাকার। আমি এখানে পাগলামি বলতে বুজাতে চাচ্ছি যে যারা কিছুই পারে না কিন্তু খালি ফাপর নেয় তাদের ক্ষেত্রে , আর যারা পারে তারা তো পারেই যেমন SQLI, XSS, DDOS অথবা Crack, Cheat, Tricks ইত্যাদি ।
কিন্তু এখানে একটা কথা থেকেই যায়, যেমন – আচ্ছা হ্যাকিং কি শুধুই কম্পিউটার এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ?
আপনার কি মনে হয় ?
১. হ্যাঁ হ্যাকিং শুধু কম্পিউটার এর মধ্যেই সীমা বদ্ধ।
২. না হ্যাকিং দিয়ে প্রায় সব কিছুই হ্যাক করা যায়।
আমি এই প্রশ্ন টা যাদের জিজ্ঞাসা করেছি তাদের ৫০% এর জবাব হোল “হ্যাঁ হ্যাকিং শুধু কম্পিউটার বা মোবাইল এর খেত্রে, হ্যাকিং ইন্টারনেট ছাড়া অচল ” আর ৩০% জবাব হলো “হ্যাকিং মানে চুরি করা হ্যাকিং এক প্রকার অপরাদ” আর বাকি ২০% এর ভীতরে ১৫% হ্যাকিং মানেই বুজেনা। যাই হোক আপনি যদি ১ নাম্বার টা সিলেক্ট করেন তাহলে আপনি ভুল জানেন হ্যাকিং সম্পর্কে।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
আমি ! হ্যাকিং কি এটা বুজতে ২ বছর খরচ করেছি এখনো জানিনা যে সঠিক ভাবে জানতে পেরেছি কিনা ? আমার মনে হয় হ্যাকিং বলতে কি বোঝায় সেটা আমি জানি, আর আমি যেই বিষয় গুলো জেনেছি তাই আপনাদের কাছে শেয়ার করবো। আসলে হ্যাকিং একটা প্রকিয়ার নাম যেই প্রকিয়ায় প্রায় সব কিছুই হ্যাক করা সম্ভব যেমন ওয়েবসাইট হ্যাকিং ! আমরা কখন বলি যে এই ওয়েবসাইটা হ্যাক হয়েছে ? একটা ওয়েবসাইট এ যখন কেউ অনুমতি ছারা প্রবেশ করতে পারে বা সাইট চালনা করতে পারে তখন বলা হয় হ্যাকড (Hacked) . অথাবা হ্যাকিং এর ভাষায় DDOS মেরে সাইট ডাউন করে দিলে ওই টাকেও হ্যাক বলে । সোজা কথা বলতে যেই কাজ সাধারণ ভাবে করা যায় না সেটা হ্যাক করে করা সম্ভাব
এখন আপনি বলতে পারেন হ্যাঁ আমি Windows, Linux Etc. অপারেটিং সিস্টেম হ্যাক করতে পারি আমি একজন হ্যাকার। আসলে কি তাই ? না !! আমি বলব আপনি একজন সাধারণ কম্পিউটার হ্যাকার বা OS Hacker (অপারেটিং সিস্টেম হ্যাকার)। কারন আপনি সবকিছু পারেন না শুধু OS হ্যাক করতে পারেন।
এখন কেউ একজন এসে বলতে পারে আমি SQLI, DDOS, XSS এবং Coding, Programming, Software and Games Crack করতে পারি Cpanel hack, Shell Uplod অ্যান্ড Root Access ও নি তে পারি আরও অনেক কিছুই পারি আমি কি হ্যাকার না ? হ্যাঁ আপনি একজন মোটামটি ভালো মানের কম্পিউটার হ্যাকার ।
কারন আপনি কম্পিউটার প্রোগ্রাম এর ত্রুটি বের করে তাঁরপর OS হ্যাক করেন,ওয়েবসাইট এর বাগ বেরকরে সাইট হ্যাক করেন, কোডি ট্রিক ফলো করে রুট এ অ্যাক্সেস নেন ইত্যাদি। এই সব কাজ কিন্তু সবাই পারে না আর শিখতে ও অনেক সময় এবং পরিস্রম লাগে, তাই আপনি বলতে পারবেন যে আমি একজন কম্পিউটার হ্যাকারহ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
কিন্তু আপনি এখনো রিয়াল লাইফ হ্যাক সম্পর্কে কিছুই জানেন না । এখন আপনি ভাবছেন এইটা আবার কি ? রিয়েল লাইফ হ্যাক !

#–Life Hacking | লাইফ হ্যাকিং–#হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন

লাইফ হ্যাক বা লাইফ হ্যাকিং আসলে এই বিষয় টা অনেকের কাছে পরিচিত , এইটা নিয়ে অনেক বারাবারি ও আছে , যাই হোক আপনি নাও জানতে পারেন কখনো নাও শুনতে পারেন এইসব বিষয়, জানার তো আর শেষ নেই আমার এই পোস্ট থেকে কিছুটা হলেও বুজতে পারব যে লাইফ হ্যাকিং কি। আমি আগেই বলেছি যে হ্যাকিং একটা প্রকিয়া যার মাধ্যমে প্রায় সব কিছুই হ্যাক করা যায়, এমন কি বাস্তব জীবনেও এর ব্যাবহার করা সম্ভব, লাইফ হ্যাকার্স কারা? এটা নিয়ে আমি পরে আরও একটা পোস্ট করবো , এখন অল্প করে বলা যায়- আসলে হ্যাকিং বললে প্রথমেই মাথায় আসে কম্পিউটার এর কথা! কারন কম্পিউটার হ্যাকিং, কম্পিউটার ছাড়া তো আর সম্ভাব না, কিন্তু মানুষ হ্যাকিং করছে কম্পিউটার আবিষ্কার হয়ার অনেক আগে থেকেই।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে কম্পিউটার ই যদি না থাকে তাহলে মানুষ হ্যাক করত কি ?
টেলিফোনে নেটওয়ার্ক, ট্রেন এর টিকিট, রেডিও বার্তা ইত্যাদি। এগুলো নিয়ে পরের পোস্ট এ আলোচনা করবো যে কারা কিভাবে হ্যাক করছে টেলিফোনে, রেডিও ইত্যাদি হ্যাক করেছে এবং কতো সালে কে কি হ্যাক করেছিলো। হ্যাক শব্দ টা জন্ম হওয়ার অনেক আগে থেকেই এর কাজ মানুষের কাছে প্রচলিত, “হ্যাক” ! তো একটা প্রকিয়ার নাম মাত্র এর কাজ টা হলো মেইন, অনেকে মনে করে হ্যাকিং এর আবির্ভাব হয়েছে মানুষ এর থেকে, কোন মেশিং বা যন্ত্র থেকে নয়, ঠিক ! আমি ও তাই মনে করি, হ্যাকিং এর সব থেকে পুরাতন হ্যাক হলো মানুষ – মানুষকে হ্যাক করা, মানে একটা মানুষ আর একটা মানুষকে হ্যাক করে বা অনেক মানুষকে একসাথে হ্যাক করে। এখন আপনার মনে হতে পারে যে আমি উলটা পালটা বলছি, না ! আমি কিছু ভুল বলছি না।
মানুষ কে হ্যাক করা বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি মানুষের ব্রেন হ্যাক করাকে (Brain Hacking) মানুষ এর উপর অনেক প্রকার হ্যাক প্রয়োগ করা যায় যেমন ব্রেন হ্যাকিং, মাইনড হ্যাকিং, ইমোশান হ্যাকিং ইত্যাদি।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
চিট করাও এক ধরণের হ্যাক। আপনি কি ভাবতে পারেন যে আপনার বাবা ও একজন হ্যাকার (আমি কিন্তু আপনার বাবা কে নিয়ে কোন খারাপ মন্তাব করছি না ) আপনার বাবা কিভাবে হ্যাকার হলো? একটু মনে করে দেখেন আপনি যদি আপনার বাবার কাছে টাকা চান আর তাঁর যদি টাকা দেয়ার ইচ্ছা না থাকে তাহলে সে কি করে, ৬০% বাবারা মেজাজ গরম করে বা মন খারাপ করে অন্যদিকে তাকিয়ে বলে- হবে না , টাকা নাই অথবা কেন? , তাঁর পরের লাইন কিছু টা এরকম ও হতে পারে-
কোন লেখা পড়া নাই সারা দিন বাহিরে বন্ধুদের সাথে ঘোরা ঘোরি , ঘরের কোন কাজ করিস না ! এতো টাকা দিয়ে কি করিশ সেদিনই তো টাকা দিলাম আবার আজকে কেনো, টাকা কি গাছে ধরে যা পড়তে বস, একদম বাহিরে যাবিনা। (সবার খেত্রে এরকম নাও হতে পারে কিন্ত ৬০% বাবারা এই ধরণের বকা দেয়।)
তো এখন আপনি বলতে পারেন যে এখানে বকা দেওয়ার সাথে হ্যাকিং এর কি সম্পর্ক ?
একটু ভালো করে ভেবে দেখুন , মনে করুন বাবা আপনাকে বকা না দিয়ে কথা গুলো একটা কাগজে লিখে দিল, লেখার প্রথমে শুরু হোল –
“কোন লেখা পড়া নাই “ মানে এইটা আপনার দুর্বলতা ।
“বন্ধুদের সাথে ঘোরা ঘোরি “ এইটা হোল পয়েন্ট আপনাকে বকা দেয়ার টপিক।
“ঘরের কোন কাজ করিস না “ এটা হোল আপনাকে দোষ দেয়া, এটা দিয়ে বোঝাতে চাচ্ছে আপনার কোন দায়িত্ব বোধ নেই।
“এতো টাকা “ এখানে বোঝাতে চাচ্ছে আপনি বাবার কাছ থেকে অনেক টাকা নেন এখন টাকা নেয়া উচিত না, আর একটা কথা আপনি কিন্তু অনেক টাকা নেন না ১০০-৫০০ টাকা ভিতরে সীমাবদ্ধ ।
“টাকা কি গাছে ধরে “ এটা দিয়ে বুজাতে চাচ্ছে যে আপনার বাবা অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে আর আপনি তা নষ্ট করেন।
“একদম বাহিরে যাবিনা” এইটা কিন্তু চরম একটা হ্যাক মানে- ম্যাক্সিমাম ইয়াং ছেলেরা একটু মাথা ভাংগা টাইপের হয় , বাবা জানে যে আমি এখন যেটা মানা করবো ছেলে ওই টাই করবে, আসলে বাবা আপনাকে বাহিরে যেতে মানা করেনি উলটা আপনাকে ভাগিয়ে দিচ্ছে :p
Note: সবার খেত্রে এরকম নাও হতে পারে
এখন এতো বকা শোনার পর, কার টাকা নেয়ে ফ্রেন্ড দের সাথে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে, হয়তো আপনি ফ্রেন্ড দেরকে ফোন করে বলবেন যে আমি যাবনা প্রবলেম আছে অথবা আপনার ফ্রেন্ড দের টাকা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিবেন, কিন্তু এখানে আপনার বাবা টাকা দেওয়ার থেকে বেঁচে যাচ্ছে ।
এই প্রকিয়াকে বলে ব্রেন হ্যাকিং বা মাইনড হ্যাকিং।মানুষ ব্রেন যতোটা নিখুত ততোটাই বোকা, কোন এক ম্যাজিশিয়ান বলে ছিলো “যেই মানুষের ব্রেন লাল আর কমলা রঙ চিন্তে ভুল করে সেই ব্রেন দিয়ে আমার ম্যাজিক ট্রিক কিভাবে বুজবে” । ওয়ার্ল্ড এর অনেক মনো বিজ্ঞানী মনে করে যে মানুষের ব্রেন খুবি বোকা, যেকোনো সময় ধোঁকা খেতে পারে ।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
তো আপনার বাবা আপনার ব্রেন কে কাজে লাগিয়ে টাকা দেয়ার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে , কিন্তু লোস হলো আপনার জিতে গেল আপানার বাবা ! আপনি একটু হ্যাকিং ট্রিক প্রয়োগ করলে টাকা কিন্তু পকেটে আসতো এবং আপনিই জিতে যেতেন । যেমন:
সকাল বেলা আপনার বাবা পত্রিকা পরছে আর চা খাচ্ছে এবং মাথাও ঠাণ্ডা আছে, তখন আপনি হাসি মুখে বাবার কাছে গিয়ে বললেন-
আপনি : আসছালামুয়ালাইকুম ! বাবা কি করছেন ?
বাবা : দেখছো না পত্রিকা পড়ছি
আপনি : ও ! বাব একটা প্রবলেম (একটু হাসি মুখে বলবেন)
বাবা : কি
আপনি : সামনে এক্সাম আমার ফ্রেন্ডরা চাচ্ছে এক্সাম এর আগে বীচে ঘুরতে যাবে।
বাবা : তো কি হইছে ?
আপনি : ওরা আমাকেও নিয়ে যেতে চায়, আমি বলেছি যাবো না! আমি এক্সাম এর পর
বান্দর বন যাবো, ওরা কিছুতেই মানছে না , আমাকে নিয়েই যাবে ।
বাবা : এতো করে যখন বলছে গেলেই তো হয় , আর পরীক্ষার পর কোন বান্দর বন টান্দর
বন যাওয়ার দরকার নেই।
আপনি : ওকে বাবা ! কিন্তু একটা প্রবলেম (মন খারাপ করে বলবেন)
বাবা : আবার কি ?
আপনি : বাবা আমার কাছে তো এখন কোন টাকা নেই , কি ভাবে যাবো, সব সময় তো ওদের টাকা দিয়েই নাস্তা করি।
বাবা : কি ? কেন আমি কি তোমাকে টাকা দিনা ? (একটু রাগ করতে পারে কিন্তু কোন প্রবলেম নেই)
আপনি : আপনি চুপ করে থাকবেন অথবা বলবেন “জি”
বাবা : কতো টাকা লাগবে ?
আপনি : বাবা আপনি যাদেন (বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলবেন এবং টাকার কোন এমাউন্ট বলবেন না )
বাবা : হিমম ! এইনেও টাকা, ফ্রেন্ড দের কাছ থেকে আর টাকা নেবে না ওকে ? আর পরীক্ষার পর কোথাও যাওয়া হবে না
আপনি : ওকে (ছোট একটা হাসি দিবেন যাতে নেক্সট ও টাকা চাইলে পাওয়া যায় )
এইখানে টাকার এমাউন্ট টা বললে বাবা কিছু টাকা কম দেয়ার কথা ভাবত, যখন আপনি কোন এমাউন্ট বলেন নি তখন আপনার বাবা আপনাকে রেগুলার যেই এমাউন্ট এ টাকা দেয় আজও ও তাই দিবে যেমন ১০০-৫০০ বা ২০০-১,০০০। সোজা কথা বলতে আপনার এমন একটা পরিস্তিতি তৈরি করতে হবে যেটা ওই মুহূর্তে পজিটিভ।
অল্প কিছু বাক্য দিয়ে কিভাবে হ্যাকিং সম্ভব বুজতেই পারছেন! তারপরও আমি একটু ভালো করে বুজিয়ে দি যেমন:
১. সকাল বেলা সাধারণ ভাবে মানুষের মাথা ঠাণ্ডা থাকে ।
২. বাবার কাছে তাঁর সন্তানের হাসি অনেক কিছু মিন করে (বুজতে হবে যে কখন হাসা দরকার আর কখন মন খারাপ করা দরকার )
৩. “সামনে এক্সাম আমার ফ্রেন্ডরা চাচ্ছে এক্সাম এর আগে বীচে ঘুরতে যাবে।” এটা বলার কারনে বাবা মনে করবে আপনি এক্সাম এর আগে ভালো করে পস্ততি নিবেন এবং ভালো রেজাল্ট হবে।
৪. ” আমি এক্সাম এর পর বান্দর বন যাব “ এইটা হোল মেইন ট্রিকস, এখন বাবা ভাবে যে বান্দর বন তো অনেক দূর আর কম হলেও ১০ দিন ওই খানে থাকবে কোন প্রবলেম হলে কি হবে, একা একা যেতে দেওয়া ঠিক হবে না , তার উপর আবার টাকা নষ্ট। বীচে বা আসে পাসে ঘুরতে গেলেই ভালো, সময় কম লাগবে আর তাড়া তাড়ি বাসায়ও আসবে ।
৫. ” সব সময় তো ওদের টাকা দিয়েই নাস্তা করি “ এটা বলার কিন্তু কোন দরকারি ছিল না তাও আপনি বলছেন কারন- আপনার বাবা মনে করবে যে উনি আপনাকে ঠিক মতো টাকা দেয় না বা খেয়াল রাখে না, দায়িত্ব বধ এর উপর আঘাত লাগবে (কিছুটা মন খারাপ ও হতে পারে আবার রাগ ও করতে পারে )
Note: সবার খেত্রে এরকম নাও হতে পারে, কিন্তু ম্যাক্সিমাম সময় এই ট্রিক কাজে লাগবে
একটু মজার প্রসঙ্গে আসা যাক, আজ কাল ফেসবুক এ অনেকেই প্রেম করছে, কিন্তু ৯০% রিলেশন শিপ ব্রেক-আপ হয়ে যায় ১-১২ মাসের ভিতরে ! ব্রেক-আপ হয় প্রধান কারন একজন আর একজনকে না বোঝা অথবা ভুল বোঝার কারোনে, আর একটা কারন অবশ্য আছে সেটা হলো একজন আর একজনেক হাসি খুশি না রাখতে পারা,হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
রিয়াল লাইফ বা ফেসবুক হোক প্রেম ভালবাসায় হাসি খুশি না থাকলে প্রেম বেশিদিন টিকবে না। আপনি হয় তো ভাবছেন হ্যাকিং এর ভীতরে প্রেম কোথাথেকে আসলো ?
আমি আগেই বলেছি হ্যাকিং দিয়ে প্রায় সব কিছুই করা সম্ভব , লাভ কন্ট্রোল ও করা যায়, সোজা কথায় আপনার গার্ল ফ্রেন্ড কে হ্যাক করতে হবে। আমি বলতে চাচ্ছি আপনার গার্ল ফ্রেন্ড এর মাইন্ড কন্ট্রোলের কথা (এখানে আমি কিন্তু আপনার GF কে নিয়ে কোন খারাপ মন্তব্য করছি না) ।
ফেসবুক এ প্রথমে সবাই ফ্রেন্ড রিকোয়েসট পাঠায় কিন্তু আপনি ফ্রেন্ড রিকোয়েসট দিবেন না, ফাস্টে মেসেজ দিবেন তারপর যখন আপনি ওনার সাথে ফ্রী হবেন তখনই ফ্রেন্ড রিকোয়েসট পাঠাবেন । মেসেজ এ কি লেখবেন সেটা একান্ত আপনার বিষয় , কিন্তু আমি একটা হ্যাক ট্রিক দিতে পারি যেটা ৮০% কার্যকর যেমন-
সাধারণত সবাই ফাস্টে Hi লিখে মেসেজ দেয় কিন্তু সুন্দরি মেয়ে দের খেত্রে ৬০% রিপ্লাই আসে না। তাই আপনি এমন কিছু মেসেজ করবেন যার রিপ্লাই দিতেই হবে যেমন- ” আচ্ছা তোমাদের এক্সাম কখন? “ (মেয়ে ভাববে যে আপনি হতো তাকে চিনেন বা একি কলেজে পড়েন )
অথবা, যদি আপনি ওই মেয়ের সাথে প্রেম করবেন ১০০% শিওর হন তাহলে অবুজ এর মতো i love you বলে দিতে পারেন, রিপ্লাই তো ১০০% পাবেন কিন্তু কি রিপ্লাই দিবে তা আমি জানি না। (একই এলাকার মেয়ে হলে এই ট্রিক টা কাজে লাগতেও পারে কিন্তু ফেসবুক এরকম না করাই ভালো)
মনে করুন অনেক দিন হয়ে গেল এবং অনেকটা ফ্রী ও হয়েছে, এখন আপনি জানেন যে ওর মন খারাপ মন ভালো করার জন্য কি করবেন ? ফেসবুক এ চ্যাট করতে পারেন, কিন্তু মাইন্ড কন্ট্রোলের করে, মন ভালো করার জন্য হ্যাক করতে হবে, যেমন-
hi , Hello না লিখে এরকম কিছু লেখন
আপনিঃ কি খবর পুঁটিমাছ কেমন আছো ? (দুইটা রিপ্লাই আসতে পারে ১.মানে ? / ২. ভালো। রিপ্লাই পজেটিভ হবে )
মেয়েঃ ভালো….. কিন্তু পুঁটিমাছ কেন বললে ?
আপনিঃ আদর করে বললাম :p
মেয়েঃ 🙂 হিমম….. তুমি কেমন আছো ? (পজেটিভ, মেয়ের মন কিন্তু ভালো হয়েগেছে )হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
এরকম আরও অনেক প্রশ্ন আছে যেগুলো আপনার গার্ল ফ্রেন্ড এর মাইন্ড ভালো করে দিতে পারে যেমন- আচ্ছা তোমার কিছু দুষ্ট অভ্যাস বলোত ? , আচ্ছা তুমি কি এখনো ছোট মেয়ে দের মতো লাল সবুজ ফিতা দিয়ে দুই বেনি করে চুল বাঁধো? , এই তোমার নাম নাকি টুনটুনি? সত্যি ! ইত্যাদি। আসলে মাইনড কন্ট্রোল বা মাইনড হ্যাকিং কাউকে শিখনো যায় না , সময় বুঝে অ্যাটাক করতে হয়, মনে করুন যে অনেক দিন হয়ে গেছে ফেসবুক এ তো প্রেম প্রেম ভাব এখন দেখা করতে হবে , এখন আপনার কি করা উচিত আপনি কি ভাবছেন? পার্কে দেখা করবেন ?
আপনি যদি পার্কে নিয়ে যান তাহলে তেমন কোন লাব হবে না কারণ- মেয়েরা যতই মর্ডান হকনা কেন বাঙ্গালি তো ! লজ্জা কিন্তু ঠিকি আছে , পার্ক খোলা মেল আর এটা তো USA না বাংলাদেশ ! সবাই আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে মেয়ে লজ্জায় বেশি হলে ২০ মিনিট থাকবে তারপর চলে যেতে চাইবে ।
আর যদি আপনি কিছু হ্যাক ট্রিক কাজে লাগান তাহলে ১ ঘনটারও বেশি সময় ডেট করতে পারবেন যেমন- আপনি আপনার গার্ল ফ্রেন্ড কে নিয়ে ভালো একটা রেস্টুডেন্ট এ যাবেন চাইনিস রেস্টুডেন্ট হলে আরও ভালো হয়, রেস্টুডেন্ট এর এক কর্নারে বা পাসে বসবেন যেখানে লোকজন কম ওইখানে বশুন । খাবারের ভীতরে সুপ, আইসক্রিম, নুডুস ইত্যাদি (যেই সকল খাবার খেতে সময় লাগে ওই ধরণের খাবার অর্ডার করুন) এবং মেয়ের পছন্দের খাবারও অর্ডার করতে ভুলবেন না। কথা বলার জন্য এমন টপিক ক্রিয়েট করুন যা মজাদার এবং সময় নিয়ে গল্প করা যায়।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
আর একটা জিনিস! সাধারণত এই সময় স্মার্ট ছেলেরা একটা জিনিস ভুল করে সেটা হোল নিজের সম্পর্কে বেশি বেশি বলে, আমি এই আমি সেই, পুরাটা সময় বোকবোক কতেই থাকে মেয়ে কে একটুও কিছু বলতে দেয় না, (অনেক ছেলেরা মেয়েদের আকর্ষণ করার জন্য বেশি বেশি বলে বা আমি এটা পারি ওটা পারি এইসব বলে, আসলে মেয়ে এতে বোরিং হয়।) আপনি এখানে নিজের সম্পর্কে যেটুকো দরকার ততোটাই বলুন বেশি কিছু বলবেন না এবং বার বার ওর সম্পর্কে জিজ্ঞাস করুন এমন একটা ভাব নিন যে আপনি ওর সম্পর্কে জানার জন্য খুবি ইচ্ছুক।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
এবার প্রপোজ করার পালা আমি বিস্তারিত বলবো না। অবশ্যই একটা লাল গোলাপ হাতে রাখবেন (কাল গোলাপ হলে আরও ভালো :p মেয়েরা দামি জিনিস লাইক করে) প্রপোজ করার সময় কোন প্রকার ভয় পাবেন না (কারণ মেয়েরা ভিতু ছেলে লইকে করে না) আর যদিও ভয় লাগে তাহলে ওকে বুজতে দিবেননা। স্পষ্ট করে এবং চোখে চোখ রেখে হাসি মুখে বলবেন ” আমি তোমাকে ভালোবাসি “ (i love you বলবেন না মানে বাংলায় বলবেন, চোখে চোখ রেখে কথা বললে মানুষের ব্রন মনে করে সে সত্যি বলছে,আমার কথা নয় এটা FBI মনে করে )
আমি বাংলায় প্রপোজ করতে বলেছি এই জন্য যে “হুমায়ুন আহমেদ “ বলেছে- আমরা I love You খুব সহজেই বলেদিতে পারি, কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি এই কথা টা বলতে গেলে মনের ভিতরতা কেমন করে উঠে মুখে বেজে যায়।
Note: আমি কোন লাভ গুরু না এবং আমার কোন লাভার নেই আমি কখনো রিলেশনশিপ
এ জরাই নি কিন্তু এই ট্রিক গুলো আমার ফ্রেন্ড দের ধারা পরিক্ষিত, এই হ্যাক ট্রিক গুলো সবার খেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে, গার্ল ফ্রেন্ড কে হ্যাকিং করতে গিয়ে উলটা পালটা কিছু হলে আমি কিন্তু দাই নই।
লাইফ হ্যাকিং এর বড় একটা জায়গা নিয়েছে মেশিং বা যন্ত্র, আপনি প্রশ্ন করতে পারেন- মেশিং এর সাথে হ্যাকিং এর কি সম্পর্ক ?। (আপনি যদি মনে মনে এই কথা টা ভাবেন তাহলে আমি খুশি হবো কারণ উপড়ে অনেক গুলো উদাহরণ দিয়েছি) হ্যাঁ সম্পর্ক অবশ্যই আছে এবং যন্ত্র হ্যাক বর্তমান সময় অনেক পোপুলার যেমন- আই পেড লেবু দিয়ে চার্জ দেয়া, সাইকেল দিয়ে মোটর বাইক বানানো, গাছের পাতাদিয়ে ব্যাটারি চার্জ দেয়া ইত্যাদি। আপনারা যদি আমর সাথে থাকেন তাহলে আমি এইসব বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে পার্ট বাই পার্ট পোস্ট করবো। অথবা গুগলে Life Hacking লেখে সার্চ করুণ, অনেক Tutorial পাবেন।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
এবার বড় কিছুতে হাত দেয়া যাক, বড় বড় ব্যান্ড, কম্পানি, রেস্টুরেন্ট এবং ফাস্ট ফুড ব্যান্ড গুলো আমাদের প্রতি নিয়ত আমাদের অজান্তে হ্যাক করছে আমাদের মাইনড।
Note: আমি এখানে কিছু ব্যান্ড এবং কম্পানি নিয়ে শুধু মাত্র আলোচনা করবো , কোন
প্রকার খারাপ মন্তব বা নিন্দা করবো না এবং বলবো না যে ওই ব্যান্ড খারাপ, ওই কম্পানি বাজে, আমি শুধু ওদের কর্মকাণ্ড আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
আপনি যদি একটু খেয়াল করে দেখেন তাহলে দেখবেন যে ওয়ার্ল্ড বড় কিছু রেস্টুরেন্ট ও ফাস্ট ফুড ব্যান্ড এর লোগো (Logo) লাল, হলুদ বা উজ্জল রং এর যেমন KFC, Pizza Hut, Macdonld’s, Domino’s Pizza, Coac Cola ইত্যাদি।
আপনি এখন প্রশ্ন করতে পারেন লাল রং এর দোষ কি আর রং এর সাথে হ্যাকিং এর কি সম্পর্ক হতেপারে ?
লাল রং এর কোন দোষ নেই কিন্তু এই ব্যান্ড গুলো আপনার আমার ব্রেন হ্যাক করছে প্রতি নিয়ত, আবার প্রশ্ন কিভাবে ? এক বৈজ্ঞানীক গবেষণায় বলা হয়েছে উজ্জল রং মানুষের মস্তিষ্ক কে আকর্ষণ করে এবং “লাল” রং মানুষকে খুদার অনুভুতি জাগায়। আরও কয় একটা জিনিস আছে যেমন- বোল্ড অক্ষরের লেখা, পোষ্টারে বড় বড় করে খাবারের ছবি লাগানো বা সুন্দরি মেদের ছবি লাগানো, খাবারের ঘ্রাণ রেস্টুরেন্ট এর বাহিরে বেরকরা বা রেস্টুরন্ট এর ভীতরে ফুড এস্প্রে (Food Spray) ব্যাবহার করা ইত্যাদি।হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
মনে করুন আপনি ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরছেন, আসার সময় দেখলেন একটা রেস্টুরেন্ট এর পাশে লাল রং এর বড় একটা পোষ্টার ঝুলছে এবং বোল্ড করে লেখা আছে ” 10% Off “ পাশে বড় একটা চিকেন বার্গার হাতে নিয়ে সুন্দরি একটা মেয়ে খাচ্ছে, এরকম একটা পোষ্টার, এবং অসাধারণ চিকেন গ্রিল এর সুগন্ধ আসছে, লাঞ্চ এর টাইম ক্লাস করে এসেছেন আবার খুদাও লেগেছে ! আপনার পকেটে টাকা থাকলে ৯৫% আপনি ওই রেস্টুরেন্ট এ যাবেন লাঞ্চ করতে। (আমার মনে হয় আপনি বুজতে পেরেছেন যে কোন গুলো হ্যাক ট্রিক) আমি আর একটু ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছি-
আপনি কিন্তু বাসায় যাচ্ছিলেন প্রতি দিনের মতো কোন রেস্টুরেন্ট এ না কিন্তু আপনি রেস্টুরেন্ট এ কেন ঢুকলেন বাসায় তো আপনার মা লাঞ্চ নিয়ে বসে আছে ।
১. দুপুর টাইম, ক্লাস শেষে আপনি ক্লান্ত এবং খুদার্ত
২. (লাল রং এর পোষ্টার) লাল রং খুদার অনুভুতি জাগায়
৩. (বোল্ড করে লেখা 10% Off ) বড় বা বোল্ড লেখা মানুসের মস্তিষ্ক কে আকর্ষণ করে এবং 10% Off আপনি মনে করেছেন টাকা কম খরচ হবে ।
৩. (চিকেন বার্গার হাতে নিয়ে সুন্দরি একটা মেয়ে খাচ্ছে) সাধারণত মানুষ খুদার্ত অবস্থায় অন্য কাউকে খেতে দেখলে, মস্তিষ্ক বার্তা পাঠায় শরিরে যে তার এখন খাওয়া উচিত । মানে আরও বেশি খুদা লাগে।
৪. ( অসাধারণ চিকেন গ্রিল এর সুগন্ধ ) খুদার্ত অবস্থায় ঘ্রাণ পেলে খেতেও ইচ্ছা করবেই। রেস্টুরেন্ট কম্পানি গুলো এরকম করে মানুষদের লোভ লাগানোর জন্য।
আপনাকে টোটাল হ্যাক করে ফেলেছে (You Have Been Hacked !)হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
আসল হ্যাকিং হয় রেস্টুরেন্ট গুলোর ভিতরে একজন ওয়েটার ইচ্ছা করলে রেস্টুরেন্ট এর ২০% ইনকাম নিজেই করতে পারে কিন্তু হ্যাকার হতে হবে।
মনে করুন আপনি ওই রেস্টুরেন্ট এ লাঞ্চ এর জন্য ঢুকলেন, একজন ওয়েটার আসলো এবং চেয়ার টা একটু টেনে দিলো, হাসি মুখে বল স্যার বশুন ! আপনি চেয়ারে বসে পরলেন এবং রেস্টুরেন্ট এর মেনু আপনার হাতে দিল, একটু পর বলল স্যার আজ স্পেশাল রেসিপি আছে, আপনি হাসি মুখে বলেন তাইনাকি, ওয়েটার মেনুর একটা পাতা উলটিয়ে দিল বলল- স্যার এগুলো সব স্পেশাল রেসিপি । আপনি বেশি বাছা বাছি নাকরে মেনুর ডান পাশের ২য় লাইন থেকে স্পেশাল চিকেন গ্রিল (পুল) অর্ডার করলেন। একটা Coca Cola এনে গ্লাসে ডেলে দিল এবং খাওয়া শেষ হয়ার পর হাতে টিশু দিয়ে বলল স্যার আর কিছু ? আপনি বললেন যাস্ট একটা কফি। বিল আসলো ৪৪৫/- টাকা আপনি ৫০০/- টাকার একটা নোট মেনুতে রেখে ওয়েটার কে বললেন বাকিটা আপনার, ওয়েটার হেসে বলল থ্যাংক ইউ স্যার এবং আপনার দাঁড়ানোর সময় চেয়ার টা একটু টেনে দিল আর বলল স্যার পরবর্তীতে আবার আসবেন ধন্যবাদ । (স্মার্ট ওয়েটার বয় )
বাহ! কি সুন্দর একটা লাঞ্চ। আপনার কি মনে হয় সব ঠিক আছে ? নাকি আপনি প্রতারিত হয়েছেন ? দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে আপনি আবারও হ্যাক হয়েছেন, এবার অনেক টাকার বাঁশ দিয়েছেন । পৃথিবীর সব হাসি মুখের মানুষ ভালো হয় না ! ওই ওয়েটার টা আপনাকে হ্যাক করেছে ।
// এখন হয়তো আপনি একটু বিরক্ত হচ্ছেন, ভাবছেন- মানে কি যা বিল হলো তাই তো দিলাম ৫০ টাকা তো বকসিস দিলাম, আমি হ্যাক হোলাম কি ভাবে ?//
১. (ওয়েটার হাসি মুখে বলেছিল “স্যার” বশুন এবং চেয়ার টেনে দিয়ে আপনাকে বশতে হেল্প করেছিলো ) সাধারণ মানুষের মস্তিষ্ক এরকম যে অপরিচিত কাউকে হাসি মুখে ভালো ব্যাবহার করতে দেখলে মস্তিষ্ক ধরে নেয়যে লোকটা অনেক ভালো মানুষ তার উপর আবার “স্যার” ও বলছে ১০০% ভালো লোক //আসলে কিন্তু সেরা পাজি//
২. (ওয়েটার বলেছিল স্পেশাল রেসিপি আছে এবং নিজেই মেনুর পাতা উলটিয়ে দিল ) এটাই হোল মেইন ট্রিক, ওই লিস্টে সব থেকে দামি খাবার গুলো আছে ।
৩. (আপনি মেনুর ডান পাশের ২য় লাইন থেকে স্পেশাল চিকেন গ্রিল (পুল) অর্ডার করে ছিলেন ) এটা কিন্তু চরম একটা হ্যাক ট্রিক, মেক্সিমাম রেস্টুরেন্ট গুলোর এই ট্রিক ফলো করে মেনু তৈরি করে, এক গবেষণায় দেখা গেছে যে বই বা পত্রিকার খেত্রে “মানুষ বই এর পাতার ডান পাসের উপরের দিকে বেশি নজর দেয় “ এরজন্য মেনুতে ডান পাশের উপরের দিকে দামি খাবারের লিস্ট রাখে এবং দামি খাবারের নাম গুলো বোল্ড করে লেখা থাকে যাতে বারবার চোখে পরে, আর একটা ট্রিক হোল- সংখ্যার পাস থেকে এই সিম্বল ( ৳ বা $ ) গুলো উঠিয়ে ফেলে, যাতে ব্রেন মনে করে এইটা শুধু একটা সংখ্যা কোন টাকা বা মূল্য নয়। // এটা কিন্তু আপনার অজান্তেই হয় // নিচের ছবিটা দেখুন বুজতে পারবেন-
হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
৪. (ওয়েটার একটা Coca Cola গ্লাসে ঢেলে দিল) আপমি কিন্তু Coca Cola অর্ডার দেননি এবং গ্লাসে ঢেলে দেয়া মানে আপনা না খেয়ে যেতে পারবেন না । //বারতি টাকা নষ্ট //
৫. (খাওয়া শেষে হাতে টিশু দিয়ে বলল স্যার আর কিছু ? ) এটা জিজ্ঞাস করার কারনে রেস্টুরেন্ট এ ২০% বেশি কফি বিক্রি হয়। //৬০/- টাকা দামের ও কফি ছিল, কিন্তু আপনাকে দিয়েছে ১২০/- টাকা দামের কফি । পুরাই বাঁশ//
মজার বিষয় টা হোল আপনি কিন্তু ১০% ছাড় পাননি। এই রেস্টুডেন্ট এ কেন এসেছিলেন মনে আছে ? চিকেন বার্গার এ “10% Off” ছিল । তাই আপনি যদি শুধু বার্গার খেতেন তাহলে বিল আসত ১২০/- টাকার মতো কিন্তু ওয়েটার আপনার মাইন্ড হ্যাক করে বিল করেছে ৪৪৫/- টাকা আবার ৫৫/- টাকা তাকে বকশিস ও দিয়েছেন LOL (আমি বুজিনা যে কেন ওয়েটার কে আমাদের টাকা দেয়ার দরকার ওরা তো রেস্টুরেন্ট কম্পানি থেকে প্রতি মাসে সেলারি পায়)
Note: সব রেস্টুরেন্ট এর ক্ষেত্রে এরকম নাও হতে পারে কিন্তু এই ঘটনা টি সত্য
এবং পরীক্ষিত, হ্যাক মেনু বাহিরের দেশ গুলোতে চলোমান আমাদের দেশে আছেকিনা তা জানিনা। শুধু মাত্র আপনাদের মাইনড হ্যাকিং সম্পর্কে বোঝানর জন্যই ঘটনা টি বলা।
শুধু রেস্টুরেন্ট না Apple বা Samsung এর মতো বড় কম্পানি ও আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মাইন্ড হ্যাক করছে ।
কিভাবে একটু পরে বলছি, আচ্ছা আপনি কি জানেন যে বাকিতে বা কিস্তিতে পণ্য বিক্রি এক ধরণের হ্যাকিং ? এক গবেষণায় দেখা যায় যে বাকি তে পণ্য বিক্রি করলে ৩৫% ইনকাম ভাল হয়। যেমন- আপনি ১ লিটার এর একটা Coca Cola কিনলেন ৬০/- টাকা দেয়ে কিন্তু ওই মুহূর্তে টাকা দিচ্ছেন না। (আপনার মস্তিষ্ক ধরে নিবে যে আপনি কোন টাকা খরচ করেন নি) তাই আপনি দোকান থেকে আরও বারতি কিছু পণ্য নিতে পারেন কোন পেশার ছারাই। কিন্তু মাস শেষে বুঝবেন যে কতো টাকা খরচ করেছেন । এখানে কিন্তু দোকান মালিকের লাভ বেশি।
আর একটা জিনিস, আপনি হয়তো দেখেছেন যে মোবাইল বা কিছু পণ্যের দাম ৯৯৯/- বা ৯৯৯৯/- টাকা দাম হয় ,এটাও কিন্তু এক ধরণের হ্যাক, যেমন- আপনি একটা Samsung এর ফোন কিনবেন ৯৯৯৯/- টাকা দিয়ে ! এখানে কিন্তু ১০.০০০/- টাকা উচ্চারণ হয়নি (আপনার মস্তিষ্ক ধরে নিবে যে কম দাম ) কিন্তু ১ টাকা + করে দেখুন সেই ১০,০০০/- টাকাই কিন্তু হয়ে গেল, আপনি তো আর এক টাকা চেয়ে নিবেন না ।
আচ্ছা বাংলাদেশে কতো পরিমাণ মানুষ আছে যারা ৫০,০০০/- টাকা দামের স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে ? আমার মনে হয়না বাশি আছে । বর্তমানে পোপুলার সেটের মধ্যে –
iPhone 6 Price: 56,000/-
iPhone 6+ Price: 64,000/-
Samsung Galaxy S6 Parice: 55,250/-
Samsung Galaxy S6 edge 79900/-
তো এতো দামি ফোন কয় জনে কিনবে ? আমার মতো মিডেল ক্লাস ছেলেরা তো কেনার নাম ও নিবে না। তাই বলে কি Apple বা Samsung মতো ব্যান্ড বাংলাদেশে ব্যবসা করবে না ? অবশ্যই করবে একটা হ্যাক দিয়ে, হ্যাক ট্রিক টা হোল ” কিস্তি তে ওদের ডিভাইস বিক্রি করা” এখন আপনি হয় তো প্রশ্ন করতে পারেন যে কিস্তিতে কিনতে পারলে তো আমাদেরই ভালো এখানে হ্যাকিং এর কি হলো ?
আপনাকে যখন বলা হবে iPhone 6 এর দাম 56,000/- টাকা কিন্তু একসাথে সব টাকা দিতে হবে না ১২ মাসের কিস্তিতে । (আপনার মস্তিষ্ক ধরে নিবে যে সম্পূর্ণ টাকা দেয়ার জন্য আপনি অনেক সময় পাবেন ) কিন্তু এমাউন্ট টা আর মনে থাকবে না, আপনি হুট করে কিনে ফেলবেন, কিন্তু প্রতি মাস টাকা প্রেমেন্ট করতে গেলে টের পাবেন (সবার খেত্রে এরকম নাও হতে পারে ) । এক হিসাবে দেখা যায় যে Samsung যখন থেকে কিন্তিতে ওদের ডিভাইস বিক্রি করা শুরু করেছে । সেই থেকে ওদের দামি দামি ডিভাইস বিক্রি করা ১৮% বেরে গিয়েছে বাংলাদেশে । (তথ্যটা সঠিক নাও হতে পারে আমি একটা ব্লগ এ পড়েছিলাম, কিন্তু Samsung এর ডিভাইস কিস্তিতে বিক্রি করে সেটা ১০০% রাইট )
ছোট একটা বিষয় বলি নতুন দের জন্য। সাধারণত হ্যাকার্স-রা তিন প্রকারের হয় যেমন-
১. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার্স (এরা ভালো এবং করো ক্ষতি করে না, কোন প্রকার খারাপ জিনিস আবিষ্কার করে না, ওয়েবসাইট বা সিস্টেম এর ত্রুটি বের করে অ্যাডমিন কে রিপোর্ট করে ঠিক করে দেয় ইত্যাদি )
২. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স (এরা অনেক রাগি এবং ধংশ লিলায় মেতে থেকে, প্রতি টা জিনিসের নেগিটিভ সাইড বেরকরে অ্যাটাক করে, ওয়েবসাইট বা সিস্টেম হ্যাক করে নষ্ট করে দেয়, প্রতারনা করে ইত্যাদি।)
৩. গ্রে হ্যাট হ্যাকার্স (এরা একটু মজাদার চরিত্রের হয় কখনো হোয়াইট হ্যাট এর মতো কাজ করে আবার কখনো ব্ল্যাক হ্যাট এর মতো কাজ করে)হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন
আমার মনে হয় আপনি হয়তো এখন বুজতে পেরেছেন যে হ্যাক বা হ্যাকিং বলতে আমরা কি বুজি, আমি শুধু এটাই বুজাতে চেয়েছি যে হ্যাকিং কোন বস্তু নয় এবং হ্যাকিং শুধু মাত্র কম্পিউটার এর মধ্যে সীমা বদ্ধ নয় , হ্যাকিং ছড়িয়ে আছে আমাদের আসে পাশেই, আমরা হ্যাক হচ্ছি প্রতি মুহূর্তে সব যায়গায়, আমাদের বুজতে হবে যে কারা আমাদে হ্যাক করে প্রতারনা করছে বা ফাঁদে ফেলছে, এবং ভালো কিছু হ্যাক দিয়ে পরিবর্তন করতে পারেন আপনার নিজের লাইফ ।
হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন হ্যাক কি? হ্যাকিং নিয়ে আমাদের যতো ভুল ধারনা। সাথে লাইফ হ্যাকিং এর পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন Reviewed by Mamun IT Solution on May 11, 2018 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.