ছোট একটা পোস্ট। তবে নতুন ফ্রীল্যান্সার, যারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে তাদের জন্য দরকারী। আমার নিজের ও ধারনা ছিল পেপাল ছাড়া অনলাইনে কোন আয় করা যায় না বা যাবে না। কিন্তু যখন ফ্রীল্যান্সিং শুরু করলাম তখন দেখলাম পেপাল ছাড়াও অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে অনলাইনে টাকা আদান প্রদান করার জন্য। তার মধ্যে ফ্রীল্যান্সিং এবং ফ্রীল্যান্সার দের জন্য money brokers বেস্ট মনে হলো ( অবশ্যই বাংলাদেশের পরিপেক্ষিতে) অনেকেরই এখনো ধারনা যে পেপাল ছাড়া ফ্রীল্যান্সিং করা যাবে না বা অনলাইনে রুজি করা যায় না। কিন্তু ধারনাটা পুরোই ভুল। আজকে ফ্রীল্যান্সিং কনফারেন্সে দেশ সেরা একজন ফ্রিিিিল্যান্সার কে পেপাল সম্পর্কে প্রশ্ন করছে। তাদের জন্য লিখছি।
পেপাল আমাদের জন্য মূখ্য নয়। আমাদের প্রধান মূখ্য হচ্ছে কাজ পাওয়া, কাজ করা, এবং কাজের শেষে ডলার গুলো আমাদের একাউন্টে জমা হওয়া। যদি আপনার একাউন্টে টাকা জমা করতে পারেন ততদিনে আপনি অনেক গুলো পথ পেয়ে যাবেন টাকা গুলো পকেটে আনার।
আজ আমি বলব কিভাবে পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করবেন। প্রথমেই যে সব ফ্রীল্যান্স সাইট মাস্টার কার্ড অফার করে যেমন আপওয়ার্ক সে গুলোর একটাতে একাউন্ট খুলে নিয়ে মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করুন ফাইভার দিয়েই আমি করছি। এ জন্য আপনার একাউন্টে কোন টাকা থাকতে হবে না। ১৫-৩০ দিনের মধ্যে আপনি কার্ড আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবে। তার পর আপনার মাস্টার কার্ড একাউন্টে ঢুকে তা পিন কোড দিয়ে একটিভ করুন।
এবার আপনি যদি ইতি মধ্যে কোন কাজ করে টাকা পান তা মাস্টার কার্ডে ট্রান্সফার করুন। বছরে $৩০ মত কেটে নিবে কার্ড একটিভেটের ফী হিসেবে। কার্ড একটিভ হলে আপনি অনেক গুলো সুবিদা উপোভোগ করতে পারবেন। অন্তত বাংলাদেশে আমার মত বলতে পারবেন আমার মাস্টার কার্ড আছে 😛 কারন বাংলাদেশে এলিট মানুষেরাই মাস্টারকার্ডের সুবিদা পায় 😛
আপনার যদি আগে থেকেই payalএকাউন্ট থাকে তাহলে এ কার্ড দিয়েই আপনার পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে পারবেন। যদি না থাকে তাহলে একটি পেপাল একাউন্ট খুলে নিয়ে তা ভেরিফাই করে নিন আপনার মাস্টার কার্ড দিয়ে। এবার মনে হচ্ছে পেপাল জনিত কোন সমস্যা আপনার আর থাকবে না। সবার জন্য শুভ কামনা।
Happy Freelancing!
No comments:
Post a Comment